ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে মাটিতে পুঁতে রাখা এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরাফাত হোসেন (১৩) নামে ওই ছাত্রকে হত্যার পর তার মরদেহ পুঁতে ফেলা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। এজন্য সাব্বির হোসেন নামে এক বখাটেকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। সে পলাতক হলেও তার মা ও ভাইকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পাঠানবাড়ী এলাকার জিবি টাওয়ারের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজ হয় আরাফাত।
তার মামা এরশাদ হোসেন জানান, পাড়ার বখাটে সাব্বিরের সঙ্গে আরাফাতের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সাব্বির রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরাফাতকে জেবি টাওয়ারের পাশের পরিত্যক্ত নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাব্বির সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এলাকাবাসী আরাফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই আরাফাত নিখোঁজ ছিল।
অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে স্বজনরা ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেন। সোমবার সকালে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ওই পরিত্যক্ত জায়গাটির এক কোণে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি পা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনরা তা শনাক্ত করেন।আরাফাতের মামার দাবি, আরাফাতকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দিয়েছে বখাটে সাব্বির।
আবুধাবী প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ছেলে আরাফাত ফেনী পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তারা শহরের পাঠানবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ফেনী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, ধারণা করা হচ্ছে- ইট দিয়ে আরাফাতের মাথায় আঘাত করে থেতলে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বিরের মা আউলিয়া বেগম ও ভাই আজিয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সাব্বির বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর পুলতা গ্রামের সাহাদাত হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পাঠানবাড়ী এলাকায় একটি বস্তিতে বসবাস করছে। ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার কারণ উদঘাটন এবং অভিযুক্ত সাব্বিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।